স্মার্টফোন হাতে থাকলে, সব সময়ই কিছু না - কিছু করে থাকি ,তা চ্যাটই হোক, ভিডিও কলিং বা মেল চেক করা। ফলে ফোনের ব্যাটারিও তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এমন কিছু উপায় আছে , যার সাহায্যে ফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে পারবেন। কী ভাবে?
১. যা যা অফ রাখতে হবে : ব্লুটুথ, ওয়াই ফাই - ব্যবহার করার থাকলেই ওয়াই - ফাই অন করবেন। রেঞ্জের বাইরে গিয়েও ওয়াই - ফাই অন থাকলে, ফোন ওয়াই - ফাইর জন্য সিগন্যাল খুঁজতে থাকে , ফলে ব্যাটারি খরচ হয়। প্রয়োজন না - হলে জিপিএস - ও বন্ধ রাখুন। ওয়াই - ফাই অফ করার পদ্ধতি : Settings-Wireless Settings- WiFi- off অ্যানিমেশান: সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনের অ্যানিমেশন অফ করে দিন। স্টাইল কমলেও ,ব্যাটারির লাইফ বাড়বে। কী ভাবে অফ করবেন ? Settings-Developer Options- Drawing- এ গিয়ে সমস্ত অ্যানিমেশান অফ করে দিন , না - হলে অ্যানিমেশান স্কেল কম করে দিন।
মোবাইল ডাটা- লো ব্যাটারির জেরে মোবাইল বন্ধ হতে চলেছে এবং চার্জ করাও সম্ভব নয়, এমন পরিস্থিতিতে মোবাইল ডাটা বন্ধ করে দিন। ইন্টারনেট কাজ না - করলেও ফোন চালু থাকবে। লোকেশান সার্ভিসেস - প্রয়োজনের সময়েই লোকেশান সার্ভিস অন করুন। কারণ তা অন থাকলে, ব্যাটারি খরচও হবে বেশি। Settings- Locations Services - এ গিয়ে সমস্ত বক্স থেকে টিক মার্ক সরিয়ে দিন।
২ . যা যা কম করে দিতে হবে : স্ক্রিনের ব্রাইটনেস- সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি স্ক্রিনে খরচ হয়। স্ক্রিন যত বড় উজ্জ্বল এবং হাই - রেজোলিউশনের হবে , ব্যাটারি ততই খরচ হবে। আপনার ফোনে স্ক্রিন ব্রাইটনেসের জন্য অটো- মোড থাকলে, তা ব্যবহার করুন। না -হলে ব্রাইটনেসকে ৫০ শতাংশের ধারেকাছে রাখুন। স্ক্রিন টাইমআউট - ফোনের স্ক্রিন টাইম আউট যত কম হবে , ব্যাটারি তত লম্বা চলবে।Settings- Sound & Display - Screen timeout - এ গিয়ে তা কমাতে পারেন। ক্যামেরা এবং ভিডিও- র ব্যবহার- ফোনের ব্যাটারি কম থাকলে ভেবেচিন্তে ক্যামেরা এবং ভিডিও- র ব্যবহার করুন। ফোন বেশি গরম হলে বুঝবেন,ব্যাটারি দ্রুত খরচ হচ্ছে এবং তার বিশ্রাম প্রয়োজন।
৩. যা থেকে দূরত্ব বজায় রাখবেন : ভাইব্রেশান- ভাইব্রেশানে বেশি ব্যাটারি খরচ হয়। তাই একে Disable রাখুন। Settings-Sound and Display - PhoneVibrate - এ গিয়ে ভাইব্রেশান বন্ধ রাখতে পারেন। লাইভ ওয়ালপেপার - লাইভ ওয়ালপেপারের পরিবর্তে ডার্ক কালারের ওয়ালপেপার ব্যবহার করা ভালো।
উইজেটস: সামান্যর তুলনায় বড় আইকনগুলিই উইজেটস। এটি আপনার স্ক্রিনে অনেক জায়গা নেয়। যেমন- আবহাওয়ার বা ফেসবুক বা টুইটারের উইজেটস। এগুলি নিজে থেকেই অপডেট হয়, তাই খুব ব্যাটারি খরচ হয়। ফোনের হোম স্ক্রিনে ভিড় করে অ্যাপ রাখবেন না। কম ব্যবহার করেন এমন অ্যাপ মেনুর ভিতরে রাখুন। দু ' টি অ্যান্টিভাইরাস - ফোনে দু 'টি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন না। অনেকে মনে করেন , দু 'টি অ্যান্টিভাইরাস ফোনকে বেশি সুস্থ রাখবে। কিন্তু এর ফলে ব্যাটারিও বেশি খরচ হবে।
৪ . যা যা চেক করবেন : ব্যাটারি ইউজ - ফোনের সেটিংসে গিয়ে দেখুন যে , কোনও অ্যাপ্লিকেশান কত ব্যাটারি খরচ করছে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশান বেশি ব্যাটারি খরচ
করলে তা আনইনস্টল করে দিন। 2 G বা 3 G মোড- 3 G প্ল্যান না - নিয়েই কি ফোনে তা ব্যবহার করছেন ? 3 G প্ল্যান না -থাকলে Settings - More Settings - Mobile Networks- Network Mode / Preferred network type - এ গিয়ে তা 2 G মোডে নিয়ে আসুন। না - হলে 3 G সিগন্যাল খুঁজতে গিয়ে ফোনের ব্যাটারি খরচ হবে।
৫ . অ্যাপসে বিশেষ নজর দিন : অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস ডিসঅ্যাবেল করুন - ইনস্টল করেছেন অথচ ব্যবহার করেছেন এমন অ্যাপ ডিসঅ্যাবেল করে দিন। অ্যান্ড্রয়েড ৪ . ০ এবং তার ওপরের ভার্জনে অ্যাপ ডিসঅ্যাবল করার সুবিধা রয়েছে। Settings- Application Manager - All - এ যান। যে অ্যাপ কখনও ব্যবহার করেন না , তা খুলে Disable করার বোতাম টিপুন। Disable করার অপশান না - দেখলে তার সমস্ত আপডেট আনইনস্টল করুন। এর পর ফের Disable করার চেষ্টা করুন। ঠিক করে অ্যাপ বন্ধ করুন - হোম বোতাম টিপলেই অ্যাপ বন্ধ হয় না। তা শুধুই ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে যায় এবং ব্যাটারি খরচ করে। যতক্ষণ না অ্যাপটি থেকে এগজিট করছেন ততক্ষণ ব্যাক বোতাম টিপতে থাকুন। না - হলে এগজিট বোতাম টিপুন। অটো আপডেট নৈব নৈব চ - অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ প্রায় রোজই আপডেট হয়। এর ফলে ডেটা খরচ তো হয়ই বরং ব্যাটারিও খরচ হয়। অটো আপডেট বন্ধ করার জন্য Menu – Play Store - Settings - Autoupdate apps - এ গিয়ে Do not auto update সেট করুন। বুকমার্কের ব্যবহার- কোনও লক্ষ্য করেছেন, আপনার ফোনে কত সার্ভিস লাগাতার সিঙ্ক হয়? ফেসবুক , টুইটার , জিমেল , অফিস মেল , গুগল প্লে - - এ সব ব্যাটারি খরচ করে। সম্ভব হলে ফেসবুক বা এ সবের জন্য অ্যাপ ডাউনলোড না - করে ব্রাউজারে বুকমার্ক করে ব্যবহার করুন।
পূর্বে প্রকাশিত এখানে
ভালো লাগলে টিউমেন্ট করতে ভুলবেন না, আজ এই পর্যন্ত।
আল্লাহ হাফেজ।