এবার পাঁচটি পরিবর্তন করে নিন যেন আপনার ফেসবুক পেজ এসব দিক দিয়ে নিরাপদ হয়। এক প্রতিবেদনে এ পাঁচটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছে ফক্স নিউজ।
১. ফেসবুকের সার্চ হিস্টোরি ক্লিয়ার করুন
ফেসবুক আপনার সব সার্চ হিস্টোরি সংরক্ষণ করে। এজন্য ফেসবুকের ডানপাশের উপরের দিকের কোনায় ‘ডাউন অ্যারো’তে ক্লিক করুন এবং অ্যাক্টিভিটি লগ সিলেক্ট করুন। বামপাশের কলামে ফটো, লাইক ও কমেন্ট এর সঙ্গে থাকা ‘মোর’-এ ক্লিক করুন। এরপর এ তালিকার সবচেয়ে নিচে থাকা সার্চ-এ ক্লিক করুন।
এরপর সার্চ এলাকা খালি হয়ে যাবে। এই ফিচারটা আপনি বন্ধ করতে পারবেন না। এ কারণে আপনাকে মাঝে মাঝে এখানে এসে মুছে ফেলতে হবে সার্চ হিস্টোরি।
২. বিজ্ঞাপনে ব্যবহারের হাত থেকে নিজের ছবিগুলো রক্ষা করুন
আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে, ফেসবুক আপনার ছবি, লেখা ও অন্যান্য পণ্য যেন বিক্রি না করে। বিশ্বাস করুন আর না করুন, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় দেওয়া শর্তসমূহের ভেতর এমন কিছু ধারা দেওয়া আছে, যার ভিত্তিতে ফেসবুক আপনার আপলোডকৃত কন্টেন্ট অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে পারে বৈধভাবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি কোনো পণ্য ‘লাইক’ করলে তারা আপনার ছবিগুলো ব্যবহার করার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়।
এ বিষয়টি বন্ধ করার জন্য অ্যাক্টিভিটি লগ পেজ-এ যান। বামপাশে ‘লাইকস’-এর লিংকে ক্লিক করুন। এখানে আপনার দেওয়া সবগুলো লাইকের একটি তালিকা পাওয়া যাবে।
এ তালিকা থেকে যেসব পণ্য আপনার ছবি ব্যবহার করতে পারে বলে মনে হবে, তাদের আনলাইক করে দিন। এজন্য সেখানে পণ্যটির পাশে একটি পেন্সিলের চিহ্ন পাবেন। সেখানেই আনলাইকের অপশনটি রয়েছে।
৩. প্রাইভেসি রক্ষা করুন
প্রাইভেসি সেটিংস-এ ক্লিক করুন। আমাদের সবাইকে নিজের অনলাইন প্রাইভেসি সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। আপনার পরিবারের কথা, বাড়ির কথা ইত্যাদি ফেসবুকে শেয়ার করা হলে তা সরাসরি রাস্তার সবার মাঝে যেন চলে না যায়, সেজন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।
এজন্য উপরের ডানপাশের কোনার তালা চিহ্নটিতে যান এবং তার নিচে ‘হু ক্যান সি মাই স্টাফ’-এ ক্লিক করুন। এরপর ‘হু ক্যান সি মাই ফিউচার পোস্টস?’-এ সেটিংস পরিবর্তন করে ‘ফ্রেন্ডস’ সিলেক্ট করুন। আপনার যদি বন্ধু তালিকায় অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষ থাকে তাহলে এ তালিকায় তাদের যোগ করা বা বাতিল করা সম্ভব।
৪. সন্তান যদি হয় ফেসবুক ব্যবহারকারী
ফেসবুকে বাচ্চাদের জন্য ভালো কিছু অপশন রয়েছে। তাদের পেজ যেন অন্য মানুষজন দেখতে না পায়, সেজন্যই এই ব্যবস্থা। এ পরিবর্তন করা হলে শুধু তাদের বন্ধুরাই তাদের পেজ দেখতে পাবে। আপনার সন্তান যদি হয় ছোট আর নিজের ভালোমন্দ এখনো ঠিকমতো বোঝে না, তাহলে এটা খুবই দরকারি।
এজন্য প্রাইভেসি সেটিংস-এ গিয়ে সেটি পরিবর্তন করে ‘ফ্রেন্ডস’-এ দিতে হবে।
এছাড়া উপরের কোনে গিয়ে সেটিংস-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর বামপাশের কলামে গিয়ে প্রাইভেসিতে ক্লিক করুন। এরপর লিমিট পাস্ট পোস্টস লিংক-এ গিয়ে ‘ফ্রেন্ডস’ সিলেক্ট করতে হবে।
৫. ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চিন্তা
এই পয়েন্টটা কিছুটা চিন্তা করে নেওয়ার মতো। ফেসবুক যদি আপনার জীবনের একটি বড় অংশ হয়ে থাকে তাহলে আপনার মৃত্যুর পর ফেসবুকের এ প্রোফাইলটির কি হবে, সে বিষয়টি চিন্তা করে নিন।
ফেসবুকের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আপনার মৃত্যু হলেও আপনার পেজ তারা সংরক্ষণ করবে এখন যেভাবে আপনি প্রাইভেসি সেটিংস রাখছেন, ঠিক সেভাবেই। আপনার মৃত্যুর প্রমাণ পেলেই প্রতিষ্ঠানটি এ ব্যবস্থা নেবে।
এ কারণে মৃত্যুর পর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আপনার যেসব বিষয় দেখাতে চান, এবং যেসব বিষয় দেখাতে চান না, সেসব নিয়ে চিন্তা করে এখনই সতর্ক হোন।